পবিত্র রমজানে ওমরা পালনের ফজিলত
পবিত্র মাহে রমজানে ওমরা পালনের ফজিলত এর বর্ণনা: আল্লাহর ঘর কা’বা শরীফ যিয়ারত করা এবং বারবার যিয়ারত করা! মুমিন ব্যক্তির পরম আকাঙ্ক্ষার বিষয়। কিন্তু সবসময় তো আর হজ্ব করা সম্ভব নয়। কারণ ইসলামের বুনিয়াদী একটি রোকন হজ্ব বছরে একবারই অনুষ্ঠিত হয়।
আর প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে হজ্বে যাওয়াটাও কঠিন ব্যাপার এবং সবার পক্ষে সম্ভবও নয়।
কিন্তু উমরা পালনের সময় সুযোগ থাকে বছরব্যাপী। তবে তার মধ্যে সর্বোত্তম ও দ্বিগুণ নেকী অর্জনের একটি সময় হলো পবিত্র মাহে রমজান, এখানে আজ আমরা আলোচনা করবো পবিত্র মাহে রমজানে ওমরা পালনের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে তথ্যসূত্রসহ।
পবিত্র মাহে রমজান দ্বিগুন সাওয়াব হাসিল ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের মাস হওয়ায়।
আল্লাহর পবিত্র কা’বা ঘরের প্রেমিকরা বিশেষ করে রমজান মাসে ভিড় জমান বাইতুল্লার পানে, কালো ঘরের ছায়া পেতে এবং সবুজ গম্বুজের পরশ নিতে।
তবে সময় সুযোগ এবং সামর্থ্য থাকলে বছরের ভিবিন্ন সময় ও আল্লাহর ঘরের হাযিরী দেওয়ার চেষ্টা করা। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ঘরের হাযিরী মু’মীন বান্দার ঈমান ও রূহানিয়াতের তারাক্কীর ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও পবিত্র রমযানে উমরা আদায়ে রয়েছে বিশেষ ফযীলত।
যাহা হযরত আবু মা’ক্বল (রা:) থেকে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়।
নিম্মে হাদিসের সনদসহ হাদিসটি উল্লেখ করা হলো,
٢٩٩٣ – حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاق، عَنْ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ
عَنْ أَبِي مَعْقِلٍ، عَنِ النَّبِيِّ – صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ –
قَالَ: “عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجَّةً”
হাদিসের অনুবাদ:
হযরত আবু মা’ক্বল (রা:) বর্ণনা করেন যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন।
রমজান মাসে একটি ওমরা পালন, একটি হজ্ব পালনের সমতুল্য. সাওয়াবের দৃষ্টিকোণ থেকে।
তথ্যসূত্র আরবী অনলাইন ভার্সন – সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২৯৯৩-
তিনি باب العمرة في رمضان – অধ্যায়ে উক্ত হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ১৪৭৯৫
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলে বারবার তার ঘরে হাযিরী দেওয়ার তাওফীক ও সৌভাগ্য নসীব করুন!আমীন! আমীন! 🤲🤲
very informative article