রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ দুই ভাগে বিভক্তঃ প্রথমত রোজা ভঙ্গের ঐ সমস্ত কারণ, যে সমস্ত কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় কিন্তু কাফফারা ওয়াজিব হয় না। শুধুমাত্র ঐ রোজার কাযা (القضاء) আদায় করাই যথেষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ত ঐ সকল কারণ যার ফলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় এবং সেই রোজার কাযা ও কাফফারা উভয়টাই ওয়াজিব হয়ে পড়ে।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ
১। সাহরীর সময় বাকী রয়েছে মনে করে, সাহরীর সময় শেষ হওয়ার পর সাহরী খেলে।
হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়র রা. বলেন, কোন ব্যক্তি (সুবহে সাদিক হয়নি মনে করে) সুবহে সাদিকের পর তথাঃ সাহরীর সময়ের পর কিছু খেলে অবশিষ্ট দিন সেই ব্যক্তি পানাহার থেকে বিরত থাকবে এবং অন্য একদিন তা কাযা করে নিবে। মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৬/১৪৯
২। সূর্য অস্ত গিয়েছে মনে করে তথা ইফতারের সময় হয়েছে মনে করে, ইফতারের সময়ের পূর্বে ইফতার করে ফেললে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
এবং এই রোযার শুধুমাত্র কাযা করা ওয়াজিব হবে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/১৫০
৩। কানের ভেতর ঔষধ (ড্রপ) অথবা তেল প্রবেশ করালে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
এবং এই রোযার কাযা করা আবশ্যক হয়ে পড়বে। সহীহ বুখারী ১/২৫৯
৪। নাকে ঔষধ বা নাকের স্প্রে (Nasal Spray) ব্যবহার করে যদি ঔষধ টেনে গলার ভেতর প্রবেশ করায়। তাহলেও রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। সহীহ বুখারী শরীফ ১/২৫৯
৫। ভুলক্রমে পানাহারের পর যদি ইচ্ছাকৃত পানাহার করে, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
অর্থাৎঃ রোযা অবস্থায় কেউ যদি ভুলে কোন কিছু পানাহার করে এবং রোযার কথা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে আর পানাহার না করে, তাহলে তার রোযা ভঙ্গ হবে না। এবং রোযার কাফফারা ও ওয়াজিব হবে না।
৬। রোজাবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে মুখভরে বমি করলে, রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
এবং সেই রোজার কাযা আদায় করতে হবে। হযরত আলী রা. বলেন, কোন ব্যক্তি অনিচ্ছাকৃত বমি করলে তাকে সেই রোযার কাযা করতে হয় না। তবে ইচ্ছা করে বমি করলে তাকে কাযা করতে হবে। মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৬/১৮০
রোযা অবস্থায় কি কি কাজ করা মাকরূহ ও রোজা মাকরূহ হওয়ার কারণ সমূহ কি কি? পড়ুন এখানে…
যে সকল কারণে রোযা ভেঙ্গে যায় এবং রোযার কাযা ও কাকাফফারা উভয়টাই দেওয়া ওয়াজিব হয়।
১. ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করার কারণে, রোযা ভেঙ্গে যায়। এবং সেই রোজার কাযা ও কাফফারা উভয়টাই ওয়াজিব হয়। সহীহ বুখারী ১/২৫৯ মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/১৯৭ ও সহীহ মুসলিম ১/৩৪৯
২. ইচ্ছাকৃত স্ত্রী সহবাস করলে রোযা ভেঙ্গে যায়। এবং সেই রোজার কাযা ও কাফফারা আদায় করা আবশ্যক হয়ে যায়। সহীহ মুসলিম শরীফ ১/৩৫৪ মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/১৮৮ মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৪৬
রোজার কাজা কাফফারা ও ফিদিয়া আদায়ের নিয়ম জানুন…
আরো পড়ুনঃ