রোজা মাকরূহ হওয়ার কারণ সমূহ ও রোজার আধুনিক মাসায়েল

রোজা মাকরূহ হওয়ার কারণ সমূহ ও সংশ্লিষ্ট মাসায়েল

রোজা মাকরূহ হওয়ার কারণ সমূহ

নিম্নে রোজা মাকরূহ হওয়ার কারণ সমূহ সুবিন্যস্তাকারে ও তথ্যসূত্র সহ বর্ণনা করা হলো।

১। রোজাবস্থায় মুখে পানি নিয়ে গড়গড়া করলে রোযা মাকরূহ হবে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/১৮৫

২। কোন প্রয়োজন ছাড়া কোনো খাদ্য ও অখাদ্য চাবানো মাকরূহ। মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/২০৩

৩। রোজাবস্থায় অজুতে বা এমনিতেই নাকে বেশি বেশি পানি দেওয়া মাকরূহ। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৩৩

৪। কামোত্তেজনা সহ স্ত্রীকে চুম্বন বা আলীঙ্গনের ফলে যদি বীর্জপাত হওয়ার বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তাহলে রোজাবস্থায় তা করা মাকরূহ।

৫। রোজা অবস্থায় ঝগড়া-বিবাদ করলে ও গাল-মন্দ এবং অনর্থক বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হলে রোজা মাকরূহ হবে।

৬। টুথপেস্ট (Toothpaste) বা মাজন দিয়ে ব্রাশ করা মাকরুহ। রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা টুথ পাউডার, দেশীয় মাজন বা কয়লা ইত্যাদি দিয়ে দাঁত মাজা মাকরূহ।

তবে ক্যামিক্যাল জাতীয় কোন কিছু ছাড়া শুধু ব্রাশ করলে রোজা মাকরূহ হবে না।

আর মিসওয়াক করলেও রোজা মাকরূহ হবে না। বরং রোজা অবস্থায় মিসওয়াক করা সুন্নাত এছাড়াও এটি সব সময়ের সুন্নাত।

আরো পড়ুনঃ রোজা ভঙ্গের কারণ ও রোজা সংক্রান্ত কিছু বিশেষ মাসায়েল।

আরো পড়ুনঃ রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলায়।

রোযার প্রাসঙ্গিক কিছু মাসাআলা-মাসায়েল

রোজা মাকরূহ হওয়ার কারণ সমূহ ও রোজার আধুনিক মাসায়েল

১। মাসআলা, খুব বেশী অসুস্থতা, বার্ধক্য ও শরীয়তসম্মত কোনো ওযরের কারণে, কোন ব্যক্তি যদি রমযানের রোযা রাখতে সক্ষম না হয়, তাহলে সে দিনের বেলায় পানাহার করতে পারবে।

তবে তার জন্য রোযাদারদের অগোচরে পানাহার করা উচিত। এবং পাবলিক প্ল্যাসে ও পানাহার থেকে বিরত থাকা উচিত। যদিও সে অমুসলিম রাষ্ট্রে বসবাস করুক না কেন। এবং সে পরবর্তী সময় তার কাযা আদায় কর নিবে।

২। মুসাফির তথাঃ ভ্রমণ কারী ব্যক্তি যদি দিনের বেলা তার সফর থেকে বাড়ি ফিরে আসেন, তাহলে তিনি অবশিষ্ট দিন পানাহার থেকে বিরত থাকবেন। মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৬/২২১

৩। যদি দিনের বেলা কোনো মহিলার হায়েয বা ঋতুস্রাব  বন্ধ হয়, তাহলে সেই নারী অবশিষ্ট দিন পানাহার থেকে বিরত থাকবে।

তেমনিভাবে যদি কোন নারী রোজা রাখার পর দিনের বেলা (যদিও তা ইফতারের এক মিনিট আগে হোক না কেন) হায়েজ দেখা দেয়, তথা ঋতুস্রাব হয়। তাহলে সেই নারী তৎক্ষণাৎ ই রোজা ভঙ্গ করে ফেলবেন। এবং পরবর্তী সময়ে সেই রোজার কাযা আদায় করবেন। মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/১৭০ মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৬/২২০ তথ্যসূত্রঃ আলকাউসার

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!