একজন আদর্শ বাবার সেরা ১৫ টি উপদেশ
একজন আদর্শ বাবা হিসেবে ছেলে-সন্তানের জন্য বাবার উপদেশ তার ছেলে-সন্তানের উত্তম পাথেয় হওয়া চাই। যা সঙ্গ করে সে তার পিতার মৃত্যুর পর ও তাকে স্বরণ করবে। এবং পিতার নাম রওশন করবে তার আদর্শে আদর্শবান হয়ে। তারই অনুসরণ করে আমরা এখানে একজন আদর্শ বাবা কর্তৃক তার সন্তানের জন্য বাবার সেরা ১৫ টি উপদেশ মূলক কথা উল্লেখ করবো।
উপদেশ মূলক কথা
১. বৈষম্যহীন থাকবে, শিষ্টাচারের প্রতি খেয়াল রাখবে, যেমন: জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দিকে নিজ পা বাড়িয়ে দিওনা।
বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে নিবে।
এবং তাকে সেলাই বা রং করতে দিবে।
২. কখনও কাউকে তার পেশার প্রতি লক্ষ্য করে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া ইত্যাদি বলে সম্বোধন করবে না।
মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা।
তাদেরও রয়েছে ব্যক্তি মর্যাদা/সম্মান ও সামাজিক এক পরিচয় তাদেরকেও সম্মানের সাথে ডেকো।
৩. তোমার থেকে বয়সে, শিক্ষায়, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট নজরে দেখবে না।
বরং তাকে স্নেহ কর বা তার যথার্থ মর্যাদা প্রদান কর। দাম্ভিকতার সহিত চলা-ফেরা করো না। কারণ এই পদ-পদবী সব কিছুই ক্ষণিকের ও ধ্বংসশীল।
৪. পড়াশুনা ও নিজ চেষ্টা-স্বাধনার মাধ্যমে জীবনের উন্নতি-তরাক্কি করবে।
অন্যের ক্ষতি করে কিংবা চোগলখুরি করে জীবনে উন্নতি-তারাক্কি করার কল্পনাও করবে না।
৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, কারণ সে লজ্জা পেতে পারে।
এবং লৌকিকতা কিংবা সু-খ্যাতি অর্জনের আশায় দান-সদকা করবে না।
একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় ও গরীবকে তার প্রাপ্য দিচ্ছো তাই ভেবেই দান-সদকা করবে।
Also Read: লুকমান হাকীমের সেরা উপদেশগুলো
৬. অন্য থেকে পাওয়ার আশা করে, সব সময় অন্যকে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
কারণ উপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম। অর্থাৎ দানের হাত দান-সদকা গ্রহনের হাত থেকে উত্তম।
৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য মানুষ তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর মন্দ বাক্য উচ্চারণ করে।
৮. ছেলে সন্তান হয়ে দুনিয়াতে আগমন করেছো তাই নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য এড়িয়ে চলো না।
৯. তোমার কি আছে আর কি নেই তা তোমার পোশাকে বা গায়ে লেখা নেই।
কিন্তু তোমার ব্যবহার ও চাল-চলন বলে দিবে তোমার পরিবার ও তোমার কি শিক্ষা-দীক্ষা রয়েছে।
১০. কখনও অযাচিত করে মায়ের কথা শুনে তোমার বউকে, এবং বউয়ের কথা শুনে তোমার মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না।
বরং হিকমতের সাথে তাদেরকে আলাদাভাবে সঠিক কথার মাধ্যমে ইসলাহ করে দাও।
হিকমত/বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগাও
১১. কাহারো গৃহে নিমন্ত্রন পেলে তার ঘরে যাওয়ার আগে নিজ গৃহে দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও।
কখনো অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।
১২. কখনো খাবারের স্বাদের সমালোচনা করো না। বিশেষ করে কোন নিমন্ত্রণ খাওয়ার পর সেই খাবারের সমালোচনা করবে না।
কারণ কেউ ইচ্ছে করে তার মেহমানকে অস্বাদু খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে না।
এবং রাঁধুনিও ইচ্ছে করে কখনো খাবার অস্বাদ করে না।
১৩. দাম্ভিক বা বড় হবার জন্য কখনো কিছু করো না, বরং সৎ-কর্মঠ ও সফল মানুষ হওয়ার চেষ্টা কর।
১৪. তোমার স্ত্রীর পরিবারকে/শ্বশুর শাশুড়িকে এতটুকু সম্মান ও মর্যাদা দিবে,
যতটুকু সম্মান-মর্যাদা তুমি তোমার পরিবার ও বাবা-মাকে দাও।
১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্র হয়ে চলা-ফেরা করবে। এবং নম্র গুণের বাহক হয়ে চলবে।
কিন্তু অন্যায়-অবিচার ও তোমার ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোশনকারীর সাথে আপোষ করোনা।
আরো পড়ুন।
লুকমান হাকীমের সেরা উপদেশগুলো
ছোটের ইসলামিক গল্প ১. নবীজীর বরকত
মাশাল্লাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ নাসীহা