সাইয়েদুল ইস্তেগফার কে কেন ইস্তেগফারের নেতা বলা হয়?
নিম্মোক্ত ইস্তেগফারটিকে সাইয়েদুল ইস্তেগফার বা আল্লাহ তা’য়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার সবচেয়ে উত্তম দোয়া বলার কারণ হলো।
ইস্তেগফারের মূল উদ্দেশ্য হলো, বান্দা তার পূর্ব কৃত-কর্মের (গুনাহ) উপর লজ্জিত হয়ে আল্লাহ তা’য়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
এবং তার উক্ত গুনাহ পুনরাবৃত্তি না করার পরিকল্পনা করা। যাহা সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর মধ্যে পাওয়া যায়।
বান্দা যখন এই শব্দ গুলো বলে,
أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوْءُ بِذَنْبِيْ
তখন সে তার প্রতি আল্লাহর দেয়া নেয়ামত ও গুনাহকে স্বীকার করে নিজের প্রতি লজ্জিত হয়ে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করে। যাহা হলো ইস্তেগফারের মূল উদ্দেশ্য বা বুনিয়াদ।
এই জন্যই হাদিস শরীফে উক্ত ইস্তেগফারকে ইস্তেগফারের নেতা বলে. আখ্যায়িত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আরবী ভার্সন
সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণসহ
6306 صحيح البخاري – حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، حَدَّثَنَا الحُسَيْنُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي بُشَيْرُ بْنُ كَعْبٍ العَدَوِيُّ،قَالَ: حَدَّثَنِي شَدَّادُ بْنُ أَوْسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
ﺍَﻟﻠّٰﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲْ لَا ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِلَّا ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ لَا ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ إِلَّا ﺃَﻧْﺖَ • سنن النسائي ١٠٢٢٥ ح : ص ١٧٤
উপরোক্ত ইস্তেগফারটিকে সাইয়েদুল ইস্তেগফার বা ইস্তেগফারের নেতা বলা হয়ে থাকে।
সাইয়েদুল ইস্তেগফারের বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতা ত’তু ,
আ‘উযুবিকা মিন শাররি মা সনা’তু , আবূ-উ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূ-উ বিযানবী,
ফাগফিরলি ফা-ইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা] [অবশ্যই আরবি দেখে শিখুন]
সাইয়েদুল ইস্তেগফারের অর্থ :
হে আল্লাহ! তুমিই আমার রব।
তুমি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা বা মা’বুদ নেই।
তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমারই গোলাম।
তুমি আমার কাছ থেকে যে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি নিয়েছো, সাধ্যানুযায়ী আমি তার উপরই চলবো।
আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছো তা স্বীকার করছি এবং আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি।
অতএব, তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।’’
সাইয়েদুল ইস্তেগফারের ফজিলত
বিশ্ব নবী রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
^ قَالَ: «وَمَنْ قَالَهَا مِنَ النَّهَارِ مُوقِنًا بِهَا، فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ، وَمَنْ قَالَهَا مِنَ اللَّيْلِ وَهُوَ مُوقِنٌ بِهَا، فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ» صحيح البخاري ح ٦٣٠٦
অনুবাদ:
‘‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এই ইস্তেগফারটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে, অতঃপর সেদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পড়বে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ [সহিহ বুখারি: ৬৩০৬]
আরো ১০ টি ইস্তিগফার শিখুন হাদিস শরীফের তথ্যসহ
আরো পড়ুন: ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির স্যারের JK Lifestyle Guideline PDF File সহ।
আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসুন।